সার্চ কমিটির দেওয়া নাম প্রকাশ্যে আনার অনুরোধ ওয়ার্কার্স পার্টির

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির দেওয়া নামের তালিকা জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেবে ওয়ার্কার্স পার্টি।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পার্টির সিদ্ধান্তে বলা হয়, সংসদে এ সংক্রান্ত আইন বিবেচনার সময় পার্টির সংসদ সদস্যরা অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া নাম জনসাধারণের জন্য প্রকাশ অথবা বিকল্প হিসেবে ওই নামগুলো সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটিতে পাঠানোর সংশোধনী দিয়েছিল। সেই সংশোধনী গৃহীত না হলেও আইন এ ধরনের নাম প্রকাশ বা সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো কোনোভাবেই বারণ করে না। এতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের বিষয়টি অধিকতর স্বচ্ছ হবে এবং তাতে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে।

পলিটব্যুরোর প্রস্তাবে বলা হয়, পার্টি আইনটি ‘অসম্পূর্ণ’ বলে আখ্যায়িত করলেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়নে সংবিধান নির্দেশিত পরিপূরণ হওয়ায় সরকার ও আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। বস্তুত সংসদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ায় আইনটি যে বিশিষ্টতা অর্জন করেছে তাকে অব্যাহত রাখতে ওই আইনের নির্দেশ বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, জনগণ ও সংসদের সংশ্লিষ্টতা জরুরি। সেই অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া চিঠিতে পার্টি এ সম্পর্কে অভিমত জানাবে।

পার্টি আশা করে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আইনে বর্ণিত যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন। একইসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকাল শেষ হলেও নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য সংবিধানে কোনো সময় বেধে দেওয়া হয়নি। ফলে রাষ্ট্রপতি তার বিবেচনার জন্য প্রয়োজনীয় সময় নিতে পারেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়। অন্যদিকে কতিপয় বামদলের নেতিবাচক সমালোচনা করে বলা হয়, এটা ঠিক যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগই যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন উপযুক্ত নির্বাচনী ব্যবস্থার যা নির্বাচনে ক্ষমতা, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অর্থ, অস্ত্র ও ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করতে পারে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরূল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, হাজী বশিরুল আলম, জ্যোতি শংকর ঝন্টু, অধ্যাপক নজরুল হক নীলু, আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান প্রমুখ।