বিএনপি জামাতকে খুন, ষড়যন্ত্র, অগ্নিসন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতির সুযোগ আর দেওয়া হবে না: বাহাউদ্দিন নাছিম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি-জামাত কথায় কথায় বাংলাদেশকে অচল করে দিতে চায়। এরা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও শেখ হাসিনার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এরা সবসময় দেশে আঘাত আনতে চায়। এরা কখনো চায় না দেশের উন্নতি হোক। এরা চায় বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে এবং তারা দেশে তালেবানী শাসন কায়েম করতে চায়।এদের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা আর দেশে এদের খুন, ষড়যন্ত্র, অগ্নি সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি করতে দিব না।

তিনি বলেন, তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী মানবিক বিবেচনায় ঘরে বসে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু সে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আর এর মূল নেতৃত্ব দিচ্ছে ৭হাজার মাইল দূরে বসে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া হাওয়া ভবনের গডফাদার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান তার বাবা খুনি জিয়াউর রহমানের পথেই হাঁটছে। এই তারেক রহমানের নেতৃত্বে একুশে আগস্ট এ আমাদের মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল।

সোমবার (২৯ আগষ্ট) ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিকেলে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া তার স্বামীর মত জাতির পিতার হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিলেন। তাদের রাজনীতিতে পূর্ণবাসন করেছেন। রাজনীতিতে এনে সংসদে বসার সুযোগ দিয়েছেন। তার লক্ষ্য ছিল জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশকে বিতর্কিত করা। আমাদের বাঙালির জাতীয়বাদকে ধ্বংস করা। তারা চেয়েছিল জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূলনীতিকে উপড়ে ফেলতে। খালেদা জিয়া এই দ্বন্দ্ব ধ্বংসের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তার সকল অপকর্মের জবাব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন।তিনি দীর্ঘ ২১ বৎসর লড়াই-সংগ্রাম করে আমাদের রক্ষা করেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা দীর্ঘ ২৩ বছর লড়াই সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এই ভূখণ্ডের মালিক আমরা বাঙালিরা। এই ভূখণ্ডে ওই পশ্চিম পাকিস্তানের ধারক-বাহক শোষকের কোন অধিকার নেই। তাদের আমাদের ভূখণ্ড শাসন করার কোন অধিকার নেই এটা জাতির পিতা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। যার কারণে তার ৭ ই মার্চের ভাষণের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতিকে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অংশ গ্রহণ করেছেন। এই মানুষদের মধ্যে কিছু ঘাতক-দালাল দেশদ্রোহী ছিল সেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পাকিস্তানের এজেন্ট এর সাথে মিলে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, যেদিন জাতির পিতাকে হত্যা করা হয় সেদিন দেশের মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়েছিল। এটি ছিল অকল্পনীয়। এটি ছিল মানুষের চিন্তার বাহিরে। সেদিন সামরিক বাহিনীর কিছু উচ্চভিলাসী ষড়যন্ত্রকারী কর্মকর্তা এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। গোটা সেনাবাহিনী এর সাথে জড়িত ছিল না। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে একমাত্র মেজর জেনারেল জিয়া তাদের মদদ দিয়েছিলো। জিয়া খুনি মোস্তাকের সাথে মিলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান যে পথে এসেছেন আমরা না চাইলেও একই পথে তাকে চলে যেতে হয়েছে। এটাই ছিল উপর ওয়ালার শাস্তি।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন,আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা বিশ্বের মধ্যে সন্মানিত জাতি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। বিশ্বের বড় বড় নেতা আজ শেখ হাসিনাকে সন্মান করে। আমাদের জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে তার আদর্শ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার পাশে থেকে আমাদের নীতিবান হতে হবে, আদর্শবান হতে হবে, নৈতিক শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে।

জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে. এম. আযম খসরুর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।