বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা শ্রমিকদের আলাপন

প্রায় দুইশো বছর ধরে যে জনগোষ্ঠীটি গহীন-নির্মম পাহাড়কে নিজেদের রক্ত আর ঘামে অর্থকরী অরণ্যে পরিণত করেছেন আজ তাদের জন্য মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথমবারের মতো তারা সরাসরি কথা বলবেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বাংলাদেশের চা শ্রমিকের জীবনে এতো বড় ঘটনা আর ঘটেনি।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন চা-বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

চা শ্রমিকরা অবাক হয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রীকে। আজকের মাহেন্দ্রক্ষণ নিয়ে তাদের আনন্দের সীমা নেই।

আনন্দঘন এ মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনে ব্যস্ত রয়েছে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন। প্রস্তুত করা হয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগান ক্লাব বাংলার মাঠ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মজিবর রহমান।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ পিপিএম জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানকে ঘিরে সিলেটে লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠ ও আশপাশ এলাকায় গত দুদিন ধরে পুলিশ অবস্থান করছে। এলাকাটি কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, মৌলভীবাজার জেলার ৯২টি চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ দেখা যাচ্ছে, কারণ প্রথমবারের মতো তারা দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। পাত্রখোলা চা বাগান থেকে মূল কনফারেন্স প্রচারিত হবে। অন্যান্য চা বাগানে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পুরো ভিডিও কনফারেন্সটি ২১টি স্পটে দেখানো হবে।

এর আগে গত শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা-বাগান মালিকদের বৈঠক করেন। এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে চা-বাগান শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নতুন দৈনিক মজুরি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের অন্যান্য সুবিধা আনুপাতিক হারে বাড়বে বলে বৈঠকে জানানো হয়।