জন্মনিবন্ধনে সমস্যা চিহ্নিতকরণের নির্দেশ এলজিআরডি মন্ত্রীর

জন্মনিবন্ধনে ভোগান্তি কমাতে সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণের নির্দেশ দিয়েছন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা আমরা কেন এতদিন ধরে সহজ করতে পারিনি এটা আমাদের জন্য খুব সুখের কথা নয়। জনপ্রতিনিধিসহ জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন রেজিস্টার জেনারেলের কার্যালয় সবাই যদি একসঙ্গে সমস্যা চিহ্নিত করে আমরা কাজ করি, উদ্যোগ নিই তাহলে এই প্রক্রিয়াটা কিন্তু সহজ করা যাবে। আমরা কত জায়গায় কত টাকা ব্যয় করছি উন্নয়নের স্বার্থে, সেখানে এই যে সার্ভার জটিলতার কথা বলা হচ্ছে এটা কি আমরা ঠিক করতে পারব না? এটা ৫/১০ কোটি টাকা আমরা এখানে ইনভেস্ট করে সমস্যা সমাধানের পথ বের করতে পারব না? আমার মনে হয় সবার সদিচ্ছা এবং উদ্যোগ নিলে এক বছরের মধ্যে এই সমস্যার সার্বিক বিষয়ে সমাধান হয়ে যাবে। বারবার বলা হচ্ছে সার্ভার জটিলতার কথা। এটা তো একটা টেকনিক্যাল সমস্যা। এই সমস্যাকে সমাধান করতে হবে, উদ্যোগ নিতে হবে, সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।

সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কি কি সমস্যা আছে সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে আমাকে জানান। আজকে মেয়ররা যে জন্মনিবন্ধনকেন্দ্রিক সমস্যাগুলোর কথা বলল এই বিষয়ে আপনারা নোট নেন, এগুলোকে চিহ্নিত করুন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা করুন। কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে সার্বিক সহযোগীতা আমরা করব। তবে শুধু শহরকেন্দ্রিক ভাবনা নয় গ্রামের একজন কৃষকের সন্তান যদি হয় তাহলে সে কীভাবে সহজে জন্মনিবন্ধন করতে পারে সেবিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে আপনাদের।

রাজধানীর ডেঙ্গু প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু বিষয়ে সব নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। প্রত্যককে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবে অন্যন্য বারের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তবুও ডেঙ্গু বাড়ছে, এটা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন ডেঙ্গু মোকাবিলায় তারা এলাকা চিহ্নিত করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. সাজা ফারুক আব্দুল্লাহ প্রমুখ।