রাঙামাটি-বান্দরবান সীমান্তে আটক ১০ জন কারাগারে

রাঙামাটি ও বান্দরবান সীমান্তবর্তী বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে আটক সাত জঙ্গি ও তিন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত এ নির্দেশ দেন।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধার দিকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের আদালতে তাদের হাজির করা হয়।

কোর্ট পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাত জঙ্গি ও তিন কুকি-চিনের সদস্যকে রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার রিমান্ড চাওয়া হয়নি। দুয়েকদিন পর আবারও তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার সীমান্তবর্তী মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে র‌্যাবের অভিযানে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া ও কুকি-চিন ন্যাশনাল পার্টির (কেএনএফ) সদস্যদের আটক করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে তাদের বান্দরবানে সদরে নিয়ে আসা হয়। এদিন বিকেলে তাদের র‌্যাব ও পুলিশের প্রহরায় রাঙামাটিতে আনা হয় এবং বিলাইছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে সহস্রাধিক সদস্য অংশ নেন। তাদের অভিযানে আটকরা হলেন- জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সৈয়দ মারুফ আহমদ মানিক (৩১), ইমরান হোসাইন শাওন (৩১), কাওসার (৪৬), জাহাঙ্গীর আহম্মেদ (২৭), মো. ইব্রাহিম (১৯), আবু বক্কর সিদ্দীক বাপ্পী (২৩), পলক মিয়া (২৬) এবং পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ’র সদস্য জৌখান স্যাং বম (১৯), স্টিফেন বম (১৯) ও মাল সম বম (২০)।

অভিযান পরিচালনাকালে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে নয়টি বন্দুক, বন্দুকের ৫০ রাউন্ড গুলি, ৬২টি কার্তুজ কেইস, ছয়টি হাত বোমা, একটি কার্তুজ কেইস, দুইটি কার্তুজ বেল্ট, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি সেট, তিনটি চার্জার, কুকিচিং লিখা ১০টি মানচিত্র এবং অস্ত্র গোলা বারুদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।