দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর ২ আসনে আলোচনায় যারা

২০২৪ সালের প্রথমদিকে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। চট্টগ্রাম বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা লক্ষ্মীপুর। ৪টি আসন নিয়ে গঠিত এ জেলা।এর মধ্যে ২৭৫ (লক্ষ্মীপুর-২) আসনটি রায়পুর উপজেলা এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, চর রুহিতা, পার্বতীনগর, বশিকপুর, শাকচর, চর রমণীমোহন ও টুমচর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ।

এ আসনে বর্তামানে সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি ২০২১ সালের ২১ জুন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।এমপি পাপুল  কুয়েতে ঘুষ কেলেঙ্কারি ও মানবপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার  পরে কুয়েতের আদালত তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন। এতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৬৩জন।এর মধ্যে পুরুষ ভোটার  ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৯।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন।তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল, বিএনপির  প্রার্থী  ধানের শীষ প্রতীকের আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে শাহজাহান পাটওয়ারী, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের হেলাল উদ্দিন, মহাজোটের লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান, হারিকেন প্রতীকে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ ফায়েজ উল্লাহ শিপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংহ প্রতীকে আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া টিটু। এর মধ্যে মহাজোটের লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে না থাকায় মহাজোটের বিবেচনায় এবার আর তিনি থাকছেন না।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে নানা আলোচনা। এ আসনে আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। আওয়ামী লীগ থেকে তার মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত। এছাড়া আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য  হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল কবির জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আলী খোকন।

অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও  সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া । এছাড়াও আলোচনায় অছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু , বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) আব্দুল মজিদ, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুণ। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে আলোচনায় আছেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম আর মাসুদ।