শেষ হলো সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবার ঢাকার ১৪টি কেন্দ্রে একযোগে ৩৭ হাজার ২৮২ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

ভর্তি পরীক্ষার সুন্দর ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ঢাকার ১৪টি কেন্দ্র ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্র থেকে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা সুন্দর পরিবেশে স্বচ্ছতা বজায় রেখে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

অপরদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা।

নওরিন তাবাসসুম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কেন্দ্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সুন্দর ছিল। গুচ্ছের মতো এই ভর্তি পরীক্ষাও যদি বিভাগীয় শহরগুলোতেও অনুষ্ঠিত হতো তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকাংশেই কমে আসতো। ঢাবি ও সাত কলেজ প্রশাসনকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। তারা চাইলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট ও যাতায়াতের বাড়তি খরচ সহজেই কমাতে পারেন।

ভর্তির ক্ষেত্রে যেভাবে নির্ণয় করা হবে মেধা স্কোর ও মেধাক্রম

ক) মোট ১২০ নম্বরের (এমসিকিউ এ ১০০ নম্বর, মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে ১০ নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে ১০ নম্বর) ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ কে ২ দিয়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ কে ২ দিয়ে গুণ করে এই দুইয়ের যোগফল ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যোগ করে মোট ১২০ নম্বরের ওপর পরীক্ষার্থীর মেধা স্কোর তৈরি করা হবে।

খ) দুই বা ততোধিক প্রার্থীর মেধা স্কোর অভিন্ন হলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারিত হবে। এক্ষেত্রে স্কোর সমান পাওয়া গেলে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইলেকটিব ইংলিশ এবং ইংরেজি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের গড়ের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারিত হবে।

এরপরও স্কোর সমান হলে পর্যায়ক্রমে নিম্নলিখিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে:

১) উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৪র্থ বিষয় ব্যতীত; ২) উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৪র্থ বিষয়সহ ; ৩) মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৪র্থ বিষয় ব্যতীত; ৪) মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৪র্থ বিষয়সহ ; এবং
৫) পর্যায়ক্রমে উল্লিখিত মানদণ্ডসমূহ প্রয়োগ করে যদি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করা না যায় তাহলে কর্তৃপক্ষ অন্য যথার্থ মানদণ্ড প্রয়োগ করে ক্রম নির্ধারণ করবেন।

এছাড়াও মেধা স্কোরের ভিত্তিতে নির্ণীত মেধাক্রম অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধা তালিকা ও ফল ভর্তি পরীক্ষার পর ৭ দিনের মধ্যে ভর্তির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অবশ্য এসএমএস এর মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।