সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে: কৃষিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি যতই লম্ফ ঝম্ফ করুক সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে। গণতন্ত্রের অর্থ এই নয়, যা খুশি তাই করবেন। মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি, শপথ নিয়েছি সুন্দরভাবে দেশ চালাবো। তারা (বিএনপি) আবারও আগুন সন্ত্রাস করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নষ্ট করছে। তাদের সময়োচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে বানচাল ও নষ্ট করার জন্য এই রাজনৈতিক দল নানান হুমকি ও ষড়যন্ত্র করছে। আমরা রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হয়ে বিএনপিকে জঙ্গি কর্মকাণ্ড, সহিংসতা করতে দেব না। সর্বাত্মক চেষ্টা করব রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সামনে আমাদের দুটি লক্ষ্য। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। যারা এ নির্বাচন বানচাল ও ভন্ডুল করতে চায় তাদের মোকাবিলা করা হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রগতিশীল দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সংবিধান অনুযায়ী এটি কর্তব্য। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অবশ্যই পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে, যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, তারাই ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দেবে এবং নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আইন বিরোধী কোনো কাজ করলে তাদের বহিষ্কারের ক্ষমতাও দেওয়া রয়েছে সংবিধানে। যারা নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চায়, যারা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়, যারা এই দেশটাকে বিভক্ত করে আবারো একটি মিনি পাকিস্তান বানাতে চায়- তাদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাতির কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিতে বলেন মন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা হাজার হাজার বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে, লক্ষ্য লক্ষ্য মা-বোনের ইজ্জত নিয়েছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরে এমন কিছু লোক রয়েছে স্বার্থের জন্যে ভাগ্য গড়ার জন্যে অর্থবিত্তের জন্যে বিভিন্ন সংগঠন বিরোধী কাজে মনের অজান্তে লিপ্ত হন। যারা রাতারাতি অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তারাও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধেও যুবলীগকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মোকাবিলা করবে যুবলীগ। তাদের পরাভূত করবে যুবলীগ। তাদের উচ্ছিষ্ট ভেবে নিকৃষ্ট জায়গায় নিক্ষেপ করবে যুবলীগ। আমরা তাদের ঘৃণা করি। যারা দলের ভেতর থেকে দলের বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের উচ্ছিষ্ট ভোগী উল্লেখ করে তিনি ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন।