সামনে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে : ওবায়দুল কাদের

অদূর ভবিষ্যতে সরকারের সামনে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জের বেশিরভাগ হচ্ছে এসব খাতে বিশ্ব সংকটের যে বাস্তবতা, সেখান থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা। কাজটা সহজ নয়।

তিনি বলেন, অবশ্য আমাদের বিশ্বাস আছে যে, সংকট অতিক্রম করে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছি,সেটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘসময় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে দক্ষতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন, সে কারণেই আমরা সংকট মোকাবিলার সাহস রাখি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি… শেখ হাসিনার নেতৃত্ব থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের চলার পথ কখনোই সহজ ছিল না।

এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন মন্ত্রীসভা শপথ নিয়েছে, প্রস্তুতি এখনো নেওয়া হয়নি। আমরা প্রথমে মন্ত্রিসভায় মিটিং করব। এরপর প্রধানমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দেবেন… বিশেষত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

প্রসঙ্গত, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। এরপর মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথ করান তিনি।

শপথ অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে ফের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগের দুবারও একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।