দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সব চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হবো: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই জয়ী হয়েছি। আগামী দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ সেটি বাস্তবায়ন করা।দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাটাই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।আমরা আশা করি যখন আমাদের নেতা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তখন আমরা সব চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হবো।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসের শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এরপর প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং সংস্থাপ্রধানগণ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নয়ন দৃশ্যমান ও কর্মসংস্থান দিয়েছে। ইশতেহার মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে। বাংলার মানুষ জানতেন- প্রধানমন্ত্রী এ ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ইশতেহার জনগণের ইশতেহারে পরিণত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিগত মেয়াদে সরকার নৌখাতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। সেসব কাজ এগিয়ে নেওয়াই হবে এবারের লক্ষ্য। গত ১৫ বছরে আমরা বিভিন্ন কাজ শুরু করেছি এবং চলমান আছে। আমাদের মূল টার্গেট ছিল অভ্যন্তরীণ নৌপথ দশ হাজার কিলোমিটার তৈরি করা, সেটা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রধানমন্ত্রী সেটার পারমিশন দিয়েছেন কাজ চলমান আছে। আমাদের পায়রাবন্দরের টার্মিনালে জাহাজ আসা শুরু করেছে ।

খালিদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিদেশি অপারেটর সৌদি আরব আমাদের পতেঙ্গা টার্মিনাল নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বে টার্মিনালে আমাদের অগ্রগতি অনেক আছে। এই কাজগুলো চলমান, চলমান কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া আমাদের দরকার।

নদী দখলের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নদীর দখলদারদের বিরুদ্ধে শুধু কথা বলি নাই, আমরা দখলদারদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও গেছি। আমাদের টার্গেট ধারাবাহিকভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম বা বিভাগীয় শহর যেগুলো আছে সারা বাংলাদেশের নদীগুলোকে দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে, এটা চলমান প্রক্রিয়া। এর বাইরে দূষণের ব্যাপারে আমরা কথা বলছি বায়ুদূষণ আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে তিনি বলেছেন তিনি জোরালো অবস্থান নেবেন। এই সহযোগিতাটা পেলে আমরা আরো জোরালো অবস্থান গ্রহণ করতে পারবো দূষণের বিরুদ্ধে।