আদালতকে বিভ্রান্ত করতে রায়ের আগে সংবাদ সম্মেলন : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন : খালেদা জিয়া যখন বলেন তার সেনাবাহিনী আর পুলিশ প্রশাসন আছে। তবে কেন তাহলে বিএনপি ভয় পায়। অভয় দিয়ে তাহলে এতো কেন ভয়? আওয়ামী লীগ জনগনের জানমালের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসের মাধ্যমে দুর্নীতি ঢাকা যাবে না। আ’লীগ কোন সন্ত্রাস ও সহিংসতা সহ্য করবো না। একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও আতংকের সৃষ্টি করা হয়েছে এটা তো আগে কখনো হয় নি। এবারই প্রথম। বিএনপি তাদের পুরোনো আগুন সন্ত্রাসে ফিরে যেতে উস্কানি দিচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় আ’লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের রায় পূর্ববর্তি বুধবারের সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, রায়ের আগে মায়াকান্না করে আদালতকে বিব্রত, বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, রায় নেতিবাচক হলে বিএনপি আইন মেনে নেবে না। প্রধানমন্ত্রী রায় লিখে দিয়েছেন। এধরনের কথা কি আদালত অবমাননার সমান নয়? তারা হ্যা তার বিরুদ্ধে যদি রায় হয় তবে তিনি শেষ পদক্ষেপ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। তিনি দয়াবান মানুষ। ক্ষমা করলেও করতে পারে।
কাদের আরো বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য কি ধরনের ভবিষ্যৎ রেখে যাচ্ছি। কি ধরনের নোংরা রাজনৈতিক প্র্যাকটিস বিএনপি করছে। পৃথিবীতে আগে কখনো হয় নি। এ ধরনের সংস্কৃতি অনুসরণ করা হলে ফলাফল ভালো হবে না।
আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার উপর এটেম্পট বিএনপিও করেছে। তারপরও তিনি খালেদা জিয়াকে শান্তনা জানাতে গিয়েছিলেন। বিএনপির নেতারা সব প্যাথলজিক্যাল লায়ার।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের সিলেট সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেগম জিয়া মাজার জিয়ারতের নামে গিয়েছিলেন শোডাউন করতে। তিনি মনে করেছিলেন জনগনের ঢল নামবে। কিন্তু নামেনি। তাই তিনি হতাশ হয়ে রাতেই ফিরে এসেছেন।
কাদের জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ নিয়েছে।
রায়ের দিন নাশকতা ঠেকাতে আ’লীগও মাঠে থাকবে, এ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তো পাল্টাপাল্টি কোন অবস্থায় যাই নি। এটা তো দুর্নীতির বিষয়। এ নিয়ে রাজপথে কি করার আছে। তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে আমাদের সমস্যা কি?
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দিপুমনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।