ক্রিকেটে বল ট্যাম্পারিং যাকে বলে
বল ট্যাম্পারিং হলো বলের স্বাভাবিক আকৃতি নষ্ট করা। সেটা নখ, ধাতব কিছু কিংবা শিরিষ কাগজ বা বাইরের যে কোনো বস্তু দিয়ে হোক। মূল কথা হলো, বোলার যখন বাড়তি সুবিধা পেতে বলের স্বাভাবিক আকার আকৃতির ক্ষতি করেন সেটিকে বল হয় ট্যাম্পারিং।
ট্যাম্পারিংয়ে আইন
ক্রিকেট আইনের ৪১ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারায় বল কৃত্রিম কোনো কিছু ছাড়া পালিশ করা যাবে, ভেজা থাকলে কোনো তোয়ালে দিয়ে এটাকে শুকানো যাবে, দায়িত্বপ্রাপ্তের চোখের সামনে কাদা লাগা বল পরিষ্কার করা যাবে। এর বাইরে বলের আকৃতি নষ্ট করতে যা কিছু করা হবে তার সবই অবৈধ। বল মাটিতে ঘসা, নখ দিয়ে আঁচর কাটা বলে কিংবা ধারালো অন্য কিছু দিয়ে বল বা সিমের ক্ষতি করা নিষিদ্ধ।
যা দিয়ে বল ট্যাম্পারিং করা হয়
ঠোটে লাগানো জেল, মিষ্টি সিলভিয়া ব্যবহার, বুটের স্পাই, বোতলের মুখ, নখ, শিরিষ কাগজ, মাটিতে ঘসে।
বল ট্যাম্পারিং এর সাজা
আম্পায়ার যখন বোলার-ফিল্ডারকে দোষী পান তখন ব্যাটিং সাইড তাদের পক্ষে ৫ রানের পেনাল্টি পায়। এবং বল বদলে দেওয়া হয় সাথে সাথে। বদলানো বল বেছে নেন আম্পায়ার। তাছাড়া কোনো বোলার বারবার বল ট্যাম্পারিং করলে তাকে ওই ইনিংসে বল করা থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। এরপর ম্যাচ শেষে তাকে বাড়তি শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। এটা গুরুতর অপরাধ বলে বাড়তি অন্য সাজা আইন অনুযায়ী আসতে পারে। অধিনায়ক নিজ হাতে না করলেও এই অপরাধে সমান দোষী মানা হয় তাকে। তাকেও সমান সাজা দেওয়ার নিয়ম।