ইসি চাইলেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারবে না: কাদের
নির্বাচন কমিশন-ইসি চাইলেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারবে না। তারা সরকারকে শুধু অনুরোধ করতে পারে। সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন মনে করলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সংবিধানে সব কিছু বলা আছে। কেউ চাইলেও সংবিধানের বাইরে যেতে পারবে না।’
রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকালে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়ন হয়েছে। তাই যদি প্রয়োজন হয় আগামী জাতীয় নির্বাচনেও সেনা মোতায়ন হতে পারে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইসির অধীনে কাজ করবে। কিন্তু সেনাবাহিনী থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হবে পরিস্থিতি বিবেচনায়। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা বিশ্বে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও এমপিরা কেনো পারবে না।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে কাদের বলেন: বিএনপি নেতারা বেগম জিয়াকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছিলেন। তাকে জোর করে হাসপাতালে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি হাসপাতালে যাওয়াতে অবশ্য একদিক থেকে সুবিধা হয়েছে। জাতি দেখেছে তিনি কতটুকু অসুস্থ।
‘আমার তো মনে হয় তিনি জেলে যাওয়ার আগে যতোটুকু সুস্থ ছিলেন, জেলে যাওয়ার পর আরো বেশি হাস্যোজ্জ্বল ও সুস্থ মনে হয়েছে। তিনি সুস্থ থাকুক আমরা চাই।’
এম্বাসেডর জমিরের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে.কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি প্রমুখ।