জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্র মুক্ত করতে হবে, এছাড়া কোন পথ নেই বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যেখানে আইনের শাসন নেই সেখানে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে তা দূরাশাও উল্লেখ করে বিএনপির এনি নীতিনির্ধারক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদী সভায় এ কথা বলেন তিনি । খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এ্যাব আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, শুধুমাত্র সাজা দেয়ার উদ্দেশ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে। একের পর এক নীলনকশা তৈরী করে তা বাস্তবায়নের দিকে সরকার সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।এসময় বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন বলেও জানান ফখরুল। এ অবস্থায় তার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার তার সুচিকিৎসা দিচ্ছে না।
সভায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আহ্বানও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সব বিরোধী দল একমত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যায়নি। তখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিরত থেকেছি। আজ কেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছি না?“আমাদের সবাইকে আবার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক, নাগরিক ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে”বলেন মহাসচিব।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অপর এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেখানে আইনের শাসন নেই সেখানে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম নামক সংগঠনের আয়োজনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সভায় এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, যেদিন খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হবেন সেদিন গণতন্ত্র মুক্ত হবে। সেদিন আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলবো। নির্বাচনের জন্য বিএনিপকে আলাদা করে প্রস্তুতি নিতে হয় না। বিএনপি সবসময় তার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।