জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সারাদেশে সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে জঙ্গীবাদ চিরতরে নির্মূল করা সম্ভব। এদেশে জঙ্গীবাদের কোন ঠাঁই হবে না। প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম কর্মীদেরও ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে হবে। মৌলবাদ ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দেশকে ধ্বংস ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা রুখে দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডেমরা ইউনিয়নের আমুলিয়ায় মাদরাসা প্রাঙ্গনে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, মাদক প্রতিরোধ, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে আলেম-ওলামা, ইমাম, খতিব ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে বিশেষ আলোচনা-মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিসেস কামরুন নেছা মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি শহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন হাফেজ মাওলানা মুফতী তৌহিদুল ইসলাম,মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আজিজুর রহমান, জাসদ নেতা মো. মাহাবুবুর রহমান, সালমা জাহাঙ্গীর, জাহানারা আকতারসহ স্থানীয় আলেম-ওলামা ও শিক্ষকবৃন্দ।
সভায় শহিদুল ইসলাম বলেন, ধর্মকে পুঁজি করে যারা সাম্প্রতিক হামলা চালিয়ে ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করেছে, ওদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে আলেম-ওলামা ও পীর মাশায়েখদের। পাশাপাশি জঙ্গীদের যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। কওমী মাদ্রাসায় জঙ্গীবাদ সৃষ্টি হয় না, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি হয় ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে।