মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘টাইম’ ২০১৮ সালে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার টাইমের প্রকাশিত এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনও এ তালিকায় রয়েছেন।
এছাড়াও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি, বলিউডের অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন জায়গা পেয়েছেন টাইমের একশ প্রভাবশালীর তালিকায়।
চলতি বছর নিয়ে টাইম ১৫ বারের মতো বিশ্বের একশ প্রভাবশালীর তালিকা তৈরি করেছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কার্যকলাপ, উদ্ভাবন ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘টাইম’ প্রত্যেক বছর একশ জনকে সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে বেছে নেয়।
এ তালিকার ব্যাপারে টাইমের সম্পাদক বলেছেন, ‘এই একশজন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী এবং পুরুষ। তবে তারা সবেচেয়ে ক্ষমতাবান নন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ক্ষমতা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট কিন্তু প্রভাব অত্যন্ত সুক্ষ্ম।’
টাইমের তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রোফাইল লিখেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি।মীনাক্ষী লিখেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৯০ সালে; যখন তিনি বাংলাদেশে সামরিক শাসন অবসানের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। আমাদের সর্বশেষ দেখা হয় ২০০৮ সালে; যখন দেশটিতে তিনি আবারো সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কাজ করছিলেন। একই বছরে তিনি নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই পরিচালক বলেন, তার বাবা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন; উত্তরাধিকারী হিসেবে শেখ হাসিনা লড়াই করতে কখনো ভয় পাননি। গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞে যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করে; তখন তিনি এই রোহিঙ্গা ঢলকে মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন।
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি লিখেছেন, অতীতে কখনোই রোহিঙ্গাদের ব্যাপক স্রোত বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কিন্তু তিনি জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মুখ ফিরিয়ে নেননি। এজন্য শেখ হাসিনা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।