সংবিধান প্রণেতা এবং গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন , ‘যারা নির্বাচন পরিচালনা করে তারা যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে জনগণ কীভাবে ভরসা করবে? বর্তমানে যেরকম রাজনৈতিক পরিস্থিতি তা চলতে থাকলে গত নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আবারও তৈরি হবে। বিগত নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়নি।’
তিনি বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করা উচিত। নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করতে হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘উচিত হবে কি হবে না এই প্রশ্নের উত্তর সবাই দিতে পারে। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ, আমি এটা এখন বেশি করে জোর গলায় বলতে চাচ্ছি না। কারণ নির্বাচনের সময় কি পরিস্থিতি হবে তা বলা মুশকিল। আমি চাই সকলেই যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। যারা চায় না সকলের অংশগ্রহণ হোক তারাই সেরকম পরিস্থিতি তৈরি করে। এটা এভাবে বেশি বলা উচিত না। আমার আপনার লক্ষ্য একই। সেটা হলো সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। যদি এটাকে ঠেলে অন্যদিকে নেয়ার অপচেষ্টা হয় সেটা আমরা কখনোই চাইবো না।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনকালীন আইনকে সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য যদি সেনাবাহিনীকে প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই সেনা মোতায়েন করা দরকার। নির্বাচন সেরকম পরিস্থিতিতে যেতেও পারে নাও যেতে পারে। সেই অবস্থায় যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের সেটা মূল্যায়ন করতে হবে।’
ড. কামাল বলেন, ‘২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে অনেকগুলো বক্তৃতা রয়েছে। সেগুলো একসঙ্গে করে দিলে আমি একটি ম্যানুফেস্ট ছাপিয়ে বিলি করে দিতাম। তাঁর বক্তব্যতে স্পষ্ট কিভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও গণফোরামের কর্মীগণ।