গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সদস্য মোতায়েনের মাধ্যমেই দুই সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে অতিরিক্ত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি-র্যাবের মহাপরিচালকসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সংম্মেলনে ইসি সচিব বলেন,‘স্থানীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই সেনা মোতায়েন করা হবে না-এ সিদ্ধান্ত হয়েছে কমিশনের। আগেও বলেছি আমরা, বিজিবি-র্যাব-পুলিশসহ আধা সামরিক বাহিনী সদস্য মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক। প্রয়োজনে দেশের যে কোনো এলাকা থেকে আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য আনা হবে।’বিএনপির কেন্দ্রীয় ও সিটির প্রার্থীরা বরাবরই এ দুই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে, সিইসির সঙ্গেও ইতোমধ্যে দলটির প্রতিনিধিদল লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জবাবে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কমিশনের প্রতি তাদের (বিএনপি) আস্থা রয়েছে বলেই ভোটে অংশ নিচ্ছে।
‘আস্থা না থাকলে হবে! তারা তো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। সিইসি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, দল ও প্রার্থীসহ সবাইকে বলেছে-প্রচারে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।’গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারে বিএনপির দাবির বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসতে হবে। সেখানে তিনি (এসপি) অসহযোগিতা করছে কিনা দেখতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বা অন্য কারও কাছে অসহযোগিতা করার রিপোর্ট আসেনি।’
তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত ২৭ দিনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন অবনতি হয়েছে এমন প্রতিবেদনও আসেনি বলে জানান ইসি সচিব।বৈঠকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন সচিব। দুই সিটিতে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র নির্ধারণ হয়নি বলে জানান তিনি।