আগামী ৪ মে থেকে টানা ভারী বর্ষণ ও হাওরে আগাম বন্যার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার পূর্বাভাসগুলো বলছে ভারী বর্ষণের পাশাপাশি তীব্র ঝড় ও বজ্রপাতেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস পেয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর গুলো। বিষয়টিকে সরে্বাচ্চ গুরুত্বের সাথে নিয়ে ১ মে ছুটির দিনে জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে ত্রাণ ও দুরে্যাগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে সকালে অনুষ্ঠিত ওই আন্তঃমন্ত্রণাালয় সমন্বয় সভায় জানানো হয়, ভারী বর্ষণের আশঙ্কায় এরই মধ্যে তিন পার্বত্য জেলার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার নিরে্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই জরুরি বৈঠকে মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আগামী ৪ মে থেকে টানা চার-পাঁচ দিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। আমরা সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ বর্ষণের কারণে হাওরে আগাম বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাওর এলাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলন ছিলো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ধান এরই মধ্যে পেকে গেছে এবং কৃষকদের আগে থেকেই ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ধান কেটে নিয়েছেন, তবে ধান শুকানো নিয়ে তারা বিপাকে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কার কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জরুরি সেবা দিতে ১০৯০ নম্বর চালু করেছে। যে কেউ এখানে ফোন করে আবহাওয়া পরিস্থিতি জেনে নিতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ৪, ৫, ৬ ও ৭ মে তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও সারা দেশেই ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ময়মনসিংহ, সিলেট, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জে নেমে আসতে পারে আগাম বন্যা ও ঢল।
বৈঠকে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে সারা দেশে বজ্রপাতে ৭০ জন নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে এদের মধ্যে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল এই দুই দিনে নিহত হয়েছে ২৯ জন।
বজৃপাতে নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা আর আহতদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।