জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ মে) আপিল বিভাগ থেকে মুক্তির আদেশ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
সোমবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। দুপুর একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট শাখা। এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
মওদুদ বলেন, ‘এই মামলার সমস্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে, আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি আগামীকাল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তির আদেশ পাবেন।’
রমজানের পর সরকার পতনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এতদিন চেষ্টা করেছি। দেশের মানুষ এখন আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেখতে চায় না। মানুষ সরকার পরিবর্তন দেখতে চায়। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার এবং ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা হবে।’
গাজীপুরে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা দেখে সরকার পিছুটান দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সারা বাংলাদেশে সেই গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। তাতে আওয়ামী ও তাদের প্রার্থীরা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। ’ এসময় বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া সুস্থ অবস্থায় জেলে গিয়েছেন। তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ’ ওইদিন আপিল বিভাগ যদি তাকে জামিন দিতেন তাহলে তিনি আজ অসুস্থ হতেন না বলেও মনে করেন আইনজীবীদের এ নেতা।
বিচারকদের সাহসের সঙ্গে বিচার কাজ পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে প্রমাণ করে দেবেন আদালত স্বাধীন। না হলে আমরা বুঝবো সিনহা বাবুকে সরকার যেভাবে বিদায় করেছে আপনারা তাতে ভীত।’
সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী রায় না দেওয়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে অপমান করে ক্যানসারের রোগী বানিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সংবিধানের সৃষ্টি। এ কারণে সংবিধানের সমন্বয় করতে হবে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রয়োজনে জনগণ আবার রক্ত দেবে।’ এজন্য কোনো বিচারপতিকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।