একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এক আসামির সঙ্গে গোপন বৈঠক করে তাকে মামলার কিছু তথ্য সরবরাহ করেছেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ- এমন অভিযোগ তুলে বুধবার খবর ছাপা হয়েছে একটি দৈনিকে।
বুধবার ( ৯ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, এ অভিযোগের কারনে গত ৭ মে তুরিন আফরোজকে সংশ্লিষ্ট ওই মামলা থেকে চিফ প্রসিকিউটর অব্যাহতি দেন। পরে মঙ্গলবার তাকে সব মামলার কার্য কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগের কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর বাইরে কিছু বলা যাবে না।’
বিষয়টি সত্য নয় জানিয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তার বিরুদ্ধে একটি দৈনিক অতি উৎসাহী হয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছে। একজন প্রসিকিউটর হিসেবে এতো দিন যা করেছেন সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবহিত আছেন। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এখনও বিস্তারিত কিছু জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বলে মন্তব্য করেছে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বুধবার (০৯ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘অভিযোগ সত্য হলে মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে। আমি তো আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যাই না বা তাদের মামলাও পরিচালনা করি না। এ ব্যাপারে আমার পক্ষে বলা সম্ভব না।’
প্রসিকিউশন টিমকে ঢেলে সাজানোর কথা এর আগে কয়েকবার বলেছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রসিকিউশন টিম ঢেলে সাজানোর কথা আমি সব সময় বলি। আইনজীবীদের দক্ষতা প্রতিদিনই পরীক্ষার ব্যাপার। আমাকেও প্রতিদিন পরীক্ষা দিতে হয়। কোনো একটি মামলায় আমি ভালো আর্গুমেন্ট করতে পারলাম কি না এসব বিষয়ে।’ তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সংক্রান্ত চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।