প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি। আসার পর সেনাবাহিনীর দরবারে যাই। সেখানে সেনা সদস্যরা আমাকে জানায়, তাদের দুপুরে ভাত খেতে দেওয়া হয় না, রুটি খেতে দেয়। এই সঙ্গে তারা আমাকে আরও কিছু কষ্টের কথা বলে যা আমার খারাপ লেগেছিল।‘আমিও বলেছিলাম তাদের ভাতের ব্যবস্থা না করে আমিও ভাত খাব না। তাদের ভাতের ব্যবস্থা করেছি তারপর আমি ভাত খেয়েছি। ভাতের ব্যবস্থা কীভাবে হবে আমরা তো ৪০ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতির বোঝা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলাম।’
ঢাকা সেনানিবাসে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার ভাই শেখ কামাল মুক্তিযোদ্ধা সে ছিল ক্যাপ্টেন। আমার অপর ভাই শেখ জামাল ছিল লেফটেন্যান্ট। এমনকি আমার ছোট ভাই রাসেলকে জিজ্ঞাসা করা হলেও সে বলত সেও সেনাবাহিনীর সদস্য হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে পঁচাত্তরে ১৫ আগস্ট সপরিবারে সবাই নিহত হয়েছিল। সেনা পরিবারের সদস্য হিসেবে এই বাহিনীর উন্নয়ন করা আমাদের কর্তব্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেনা সদস্যদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। সৈনিক আবাসনের জন্য বহুতল ব্যারাক তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া আমরা প্যারা কমান্ড গঠন করেছি। আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতাকে বহুল অংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর অফিসার পদে নারীদের যোগদানের সুযোগ করে দিই। এরপর ২০১৩ সালে আমরা সৈনিক পদে মেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিই। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছি। যাতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সেনারা সকলেই সমান সুযোগ পায়। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা ২৬ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য মজুদ রেখেছিলাম। যাতে খাদ্যের কোনো ঘাটতি না হয়। জাতীয় সংসদে বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, ‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়া ভালো। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে তাতে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যায় না। আমি তখন বলেছিলাম, আমরা হাত পেতে চলতে চাই না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। আমরা ভিক্ষুকের সরকার হতে চাই না। আপনারা চাইলে হোন।’