দুই মামলায় খালেদার জামিন, একটিতে খারিজ
কুমিল্লার দুই মামলায় ৬ মাসের জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে নড়াইলের মানহানির অপর একটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় জামিন মিললেও নড়াইলের মামলায় জামিন পাননি খালেদা। সোমবার (২৮ মে) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে আজ (সোমবার) খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, বদরোদ্দোজা বাদল, শাহজাহান ওমর, কায়সার কামাল, আমিনুল হক, মীর মো. নাসির, কামরুল ইসলাম সজল, এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ড. মো. বশির উল্লাহ, এ কে এম দাউদুর রহমান মিনা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন ও মো. শফিকুজ্জামান রানা।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রোলবোমা ছোড়া হয়। এ ঘটনায় ৭ জন যাত্রী মারা যান এবং আরও ২৫-২৬ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পরদিন (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিচারকালে দায়রা আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। সেই জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ জুন দিন ধার্য রাখা হয়েছে। কিন্তু এ অবস্থায় গত ৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়াকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। তাই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়া, একই বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হায়দারপুলের কাছে চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
মামলাটি কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১-এ চলমান। ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেন আদালত। পরে গত ২৩ এপ্রিল এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত আবেদনটির পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ জুন দিন ধার্য রাখেন। কিন্তু এ অবস্থায় শুনানি না করে এ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয়েছে।