বর্তমান সরকারকে ‘দানব সরকার’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন করে এ সরকারকে সরিয়ে ‘গণতন্ত্রের মাতা’ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবই। বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল লেবার পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সব আইনগত বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পরও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে, জনগণের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী। হাজারো চেষ্টা করেও তাঁকে জনগণ থেকে দূরে রাখা যাবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁকে মুক্ত করে আনা হবে। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীর মুক্তি ছাড়া এ দেশে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। তাঁকে মুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছি, জেল কোডের কোথাও বলা নেই যে সরকারী হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে হবে। আমরা বলেছি কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরিবার থেকে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হবে। এক্ষেত্রে বিলম্ব করা মানেই এর নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র আছে। আমরা আবার অবিলম্বে খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেট হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অবিলম্বে তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিজয় ছিনিয়ে আনার প্রত্যয় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুন, গুম, অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে একটি ভয়ংকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। জনগণের শক্তি নিয়েই নির্বাচনে জিতেছে। কারও দয়ায় বিএনপি নির্বাচনে জিততে চায় না, জেতে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে বিএনপি।’জনগণের শক্তি নিয়েই বিজয় ছিনিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজউদ্দীন আহমদ প্রমুখ।