বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনে অসম্ভব জনসমর্থন রয়েছে ধানের শীষের পক্ষে। এই নির্বাচন হবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য একটা এসিড টেস্ট। আমরা দেখবো তারা কী করে। যদি খুলনা স্টাইলে নির্বাচন করে তাহলে গাজীপুরে এর পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর।’
তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনের পরে আমরা ঠিক করবো, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো; বাকি তিন সিটি বরিশাল, সিলেট এবং রাজশাহীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কি-না।’
শনিবার (২৩ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব জানান।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের পরে আমরা চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবো রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কিনা। আমরা মনোনয়ন দেবো, সবকিছুই করবো। কিন্তু গাজীপুরের নির্বাচন দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। নির্বাচনের সময় খুব বেশি একটা নেই। সুতরাং এখন সময় এসেছে প্রতিরোধ গড়ে তোলার। অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা প্রতিহত করার শক্তি অর্জন করতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, ‘যতই আটকিয়ে রাখেন কোনও লাভ হবে না। একদিন খালেদা জিয়াকে ছাড়তেই হবে। আমরা তাকে নিয়েই নির্বাচনে যাবো।’
নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির সাবেক চিফ হুইপকে পেটানোর পরও গাজীপুরের এসপি হারুনের প্রমোশন হয়েছে। তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। যে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে একজন এসপিকে বদলি করতে পারে না, সে কমিশনের ওপর কীভাবে মানুষ আস্থা রাখবে।’
আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালেরও ষড়যন্ত্র করতে পারে এই অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারাতে চাইবে না,হারলে তারা যে লাখ লাখ কোটি টাকা বানিয়েছেন, মানুষকে অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন সবকিছু ধরা পড়ে যাবে। সেই ভয়ে তারা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করতে পারে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চাই। যে কারণে, যে চেতনায় বাংলাদেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেটা ফিরে পেতে চাই। পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সেই জন্যই আজকের আন্দোলন। কোনো বিশেষ দলকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এই আন্দোলন নয়।’