আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য সহযোগিতা করছে। এই নির্বাচন হবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার।’
সোমবার বিকেলে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন তিনি অবাধ-সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চান। আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে জনগণের কাছে আমি নৌকায় ভোট চাইতে পারি। তবে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে। গাজীপুরে এখনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোটারদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।’
‘গাজীপুরে কারচুপি হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের এমন হুমকির জবাবে কাদের বলেন, ‘বিএনপির এই নেতা ২০০১ সালে সকাল ১০টায় সিরাজপুর কেন্দ্রে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন- ‘এখনও ভোট শেষ হয়নি’। তাদের সময়ে নির্বাচনের ভোট সকাল ১০টায় শেষ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের এমন কোনও রেকর্ড নেই ।
গাজীপুর থেকে তুলে নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন থানা থেকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে- দলটির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিএনপির অভ্যাসই মিথ্যাচার করা। তারা অন্ধকারে ঢিল ছুড়েছে। অতীতেও ছুড়েছে।’একই জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারে বিএনপির দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসপি হারুনের বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের আগে কাউকে প্রত্যাহার করা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। বিএনপি নির্বাচনে জিতলে বলে কমিশন নিরপেক্ষ। আর হারলে কমিশনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে খুশি করতে হলে তাদেরকে নির্বাচনে জয়ী করাতে হবে। তা না হলে তারা পুরনো মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজাতে থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সুবাহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল প্রমুখ।