বিএনপি ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরো বলেছেন, দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এদেশে আর কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না।
সোমবার কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রতীকী অনশনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে প্রতীকী অনশন বিকাল চারটা পর্যন্ত চলে। সবশেষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপি নেতাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনশন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফখরুল বলেন, সরকার অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তাকে তার ন্যূনতম প্রাপ্যটুকুও দেয়া হচ্ছে না। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে সব কিছু থেকে, নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।
সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, বিএনপিকে রাজনীতি থেকে, নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।
অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার দাবি জানান ফখরুল।
প্রতীকী অনশনে বিএনপি নেতাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, কবির মুরাদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন বিএনপি জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা। বক্তব্য দেন অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।