জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন আদালত।
১০ জুলাই, মঙ্গলবার রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য একইদিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়নি।
কারাকর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।’
অপরদিকে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইনজীবীরা তার জামিন বৃদ্ধির আবেদন করেন। পরে আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন শুনানি করে জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর আগে ১০ জুলাই পর্যন্ত জামিনে ছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু তিনি কারাগারে আটক থাকায় আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া তার জামিনের আবেদন করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর থেকেই খালেদা জিয়া রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় তার জামিন হলেও অন্য মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারছেন না।