প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি যারা আমাকে নিরাপত্তা দেয়, তাদের নিয়ে আমি চিন্তিত। যারা দায়িত্বরত তাদের নিরাপত্তা দেয়া আমার কাছে চিন্তার বিষয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেহেতু যুগের পরিবর্তন হয়েছে, তাই এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন এবং আধুনিক সরঞ্জামাদি প্রয়োগ করে নিরাপত্তাবেষ্টনি আরও সুরক্ষিত করা হচ্ছে। শুধু যার নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে তার নয় বরং যারা নিরাপত্তা দিচ্ছে তাদের বিষয়টা চিন্তায় থাকে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সৃষ্টির শুরু থেকে এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এ বাহিনীকে আরও আধুনিক করা হচ্ছে। যেহেতু বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করেছেন। তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীন এই দেশকে আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই একটি মর্যাদাপূর্ণ দেশ এবং জাতি হিসেবে এই দেশকে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলে ফের ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। পঁচাত্তরের কালরাতে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকার আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছি। দেশের মানুষের ভালোবাসাই আমাকে নিয়ে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১০ বছরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেয়া হলো না। জাতির জনকের শাহাদাতের পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছিল ।