খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সেবা নিয়ে কারাগারের চিকিৎসক প্রতিদিনই কাজ করছে। উনি কঠিন অসুখে অসুস্থ, এটা সঠিক তথ্য নয়। তিনি যে সকল অসুখে আগে থেকেই আক্রান্ত ছিলেন, এখনও তাই আছে। কারাগারে নতুন কোনও রোগে আক্রান্ত হননি। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জেলকোড অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিন্তু তিনি সহযোগিতা করছেন না।
জেলকোড অনুযায়ী তাকে ঢাকার সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তিনি সেটাও প্রত্যাখান করেন। প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ হলেও সিএমএইচে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
খালেদা জিয়াকে সিএমএইচে চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সহযোগিতা না করলে কী করার আছে।
তিনি আরও বলেন, যতবার প্রয়োজন ততবারই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। এই বিষয়ে কোনও ক্রটি থাকবে না।
কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, রোহিঙ্গা বিষয়ে আমরা যে উদারতা দেখিয়েছি এটা সারা বিশ্ব জানে। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু যারা এসেছেন, তাদের পুনর্বাসন কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে ভারত সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনও গুম হচ্ছে না। যেগুলোকে আপনারা গুম বলছেন, সেগুলো আসলে গুম না। আমরা কিন্তু তাদের ধরে সামনে আনছি। বিচারবহির্ভূত কোনও হত্যা আমরা করি না।
তিনি বলেন, কেউ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গুম হয়ে যান, কেউ ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে গুম হয়ে যান। আবার দুইজনের মন মিল হয়ে গেলে এক হয়ে যান। এসব লোকজনকে আমরা কোথায় পাবো? তারপর আমরা সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের জানা মতে বেশিরভাগ গুমই এরকম।
তিনি আরও বলেন, দেশে বিচার বহির্ভূত কোনও হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা ঘটছে না।
ডিআইজি মিজানের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত যাতে নির্ভুল হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আমি এটুকু বলতে পারি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা এবং যদি প্রয়োজন পড়ে বিচারিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। এখানে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
মাদক নির্মূলে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না দাবি করে মন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে। পুলিশ এমনকি সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা এমন কিছু করতে চাই না যাতে নিরীহ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়। ৫টি গোয়েন্দা সংস্থাকে তাগাদা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা করিয়েছি। যাদের নাম কমন পড়ছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।