বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সোনার পরিমাণে হেরফেরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি আজ বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), শুল্ক গোয়েন্দা ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোনা নিয়ে মিডিয়ায় আসা তথ্য সত্য নয়। ক্ল্যারিক্যাল কিছু ভুলের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলে এ ঘটনা ‘আইনগতভাবে’ খতিয়ে দেখা হবে।
এতে কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম ও ড. মইনুল খান এবং এনবিআর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছিল ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি, তা হয়ে আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। ছিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণ, হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। একটি দৈনিকে এমন সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল বিকেল ৫টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভল্টে স্বর্ণ যেভাবে রাখা হয়েছিল সেভাবেই আছে। কোনো প্রকার হেরফের হয়নি। একটি ক্লাসিক্যাল মিসটেকের ( করণীক ভুল) কারণে স্বর্ণের মানের পার্থক্য দেখা দিয়েছে।এর একদিন পর অর্থ প্রতিমন্ত্রীও একই কথা বললেন।
এম এ মান্নান বলেন, গতকালের ঘটনার পর আমি এর সঙ্গে জড়িত দুইটি সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কথার ভিত্তিতে বলতে পারি- স্বর্ণের বিষয়টি যে মাত্রায় পত্রিকায় পরিবেশিত হয়ে তা সঠিক ও বাস্তবসম্মত নয়।
‘বিষয়টি অত বড় ভুল নয়। কোনও বিষয় নিয়ে দুই সংস্থার মধ্য সামান্য ভুল হতেই পারে না। এটা কিছু না। সব সোনা ঠিকই আছে। জনগণ চাইলে সোনা দেখতেও পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দরজা খোলা আছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।