নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করাই ছিল বিএনপির মূল টার্গেট, আজকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যা দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়েছে, বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ৩০ জুলাই বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন নির্বাচন নাটক তামাশা। তাদের লক্ষ্য ছিল একটাই, এ নির্বাচনকে তারা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল এবং এই অপচেষ্টা সফল করতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, তিনটি সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির প্রার্থীরা নিজেদের লোক দিয়ে গন্ডগোল সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। কেউ যদি প্রতিযোগিতাকে ভেস্তে দিতে মাঠে নামে তাহলে কি কিছু করার থাকে? কেউ যদি স্রেফ অভিযোগের পসরা সাজিয়ে মিথ্যাচার শুরু করে পরাজয়ের জন্য নিজের ক্ষেত্র তৈরি করতে মরিয়া থাকে এবং মিডিয়াকে ফাঁদে ফেলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তাহলে কি করার আছে?
কাদের বলেন, গত কয়েকদিন বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রত্যক্ষ উস্কানি দেশের মানুষ লক্ষ করেছে। বিএনপি নেতারা নয়াপল্টনে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা ও অপপ্রচার করেছে। মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে উস্কানি সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন রাজশাহীতে বিএনপির প্রার্থী ভোট না দিয়ে সারাদিন নাটক করেছেন। বরিশালে বিএনপির প্রার্থী মজিবুর রহমান সারোয়ার তার বাড়ির সামনে গত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যেসব কর্মকাণ্ড করেছেন তা দেখে বোঝা যায় তিনি নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে কাদের বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহীতে একটি কেন্দ্রও স্থগিত হয়নি। বরিশালে দুটি ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ছিল এবং তা স্থগিত হয়েছে। সিলেটেও দুটি ভোটকেন্দ্র অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত হয়েছে। বাকি সবজায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ বিষয়ে কাদের বলেন, বিএনপি অভিযোগগুলো আগেই লিখে রেখেছিল। তাদের আগেই নির্ধারণ করা ছিল তারা সকালে কি বলবে, দুপুরে কি বলবে এবং নির্বাচন শেষ হলে কি বলবে।
তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জানিয়ে কাদের বলেন, রাজশাহীতে দুটি কেন্দ্রে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ হয়েছে এবং সেখানে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে।
যদিও সিলেটের দুটি কেন্দ্রে ইভিএম এর ফলাফলে আমরা পিছিয়ে আছি তবুও আমরা আশাবাদী ।
কাদের বলেন, শেখ হাসিনার ইতিবাচক উন্নয়নের রাজনীতির সোনালী ফসল নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা ঘরে তুলছি। আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা রয়েছে। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অন্য কেউ আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে না। নারায়নগন্জ,খুলনা, গাজীপুরে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
আগামীকাল দুপুর তিনটায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সন্মেলনে আরো, উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রাশিদুল আলম, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা প্রমুখ।