কোনও কারচুপি নয়, তিন সিটিতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। তিন সিটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচনেই জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটবে না। তাই শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ভোট ডাকাতি না হলে তিন সিটিতেই লক্ষাধিক ভোট বেশি পেয়ে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচিত হতো। তাই এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচন সম্ভব নয়।
বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন- নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। এ অবস্থায় নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে কোনোভাবেই সঠিক ভোট হতে পারে না। তাই এ পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। নির্বাচন কমিশন তামাশার নির্বাচন করে তা বাস্তবায়ন করছে।
এসময় ফখরুল দাবি করে বলেন- ‘দেশে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমেই গণতন্ত্রের মাতা আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলীয় সকল বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণস্বাধীন করতে হবে। বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে।নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানান তিনি।
নির্বাচন কারচুপি ও পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সারাদেশের জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ পালনের ডাক দেন মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়াও আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।