রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে এগিয়ে রয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এছাড়া সিলেটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী।
রাজশাহীতে ১৩৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৭৮ কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। রাজশাহীতে সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ৯০ হাজার ২৬৫ ভোট। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪২ হাজার ৩৬৩ ভোট পেয়ে রয়েছেন দ্বিতীয় অবস্থানে।
এছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে ৬টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। সেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বদর উদ্দীন আহম্মদ কামরান পেয়েছেন ১ হাজার ৮৪১ ভোট। এছাড়া তার বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৯ ভোট।
এদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১২৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। বরিশালেও এগিয়ে রয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ ভোট। এছাড়া ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরওয়ার পেয়েছেন ৩ হাজার ১ ভোট।
তিন সিটির ৮৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮১ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে জালভোট, কেন্দ্র দখল আর নানা অনিয়ম অভিযোগের মধ্য দিয়ে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সোমবার সকাল ৮ থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণের পর থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি প্রার্থীরা।
নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারসহ চার প্রার্থী।
অন্য দুজন হলেন- ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী ওবাইদুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মেয়রপ্রার্থী মনীষা চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনেও বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সিলেট সিটি নির্বাচনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অন্তত ১৫টি ভোটকেন্দ্রের এক বা একাধিক বুথ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুথ দখল করে জালভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও কয়েকটি ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে তিন সিটিতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহল কবির রিজভী।
তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি অভিযোগ করছে।