বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার, নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নয় দফা দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইউনিফর্ম পরে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স দেখছিলেন। পাশাপাশি নানান স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
শাহবাগে কথা হয় আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থী সাথে। তারা বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। স্কুল বন্ধ রাখুক আর খোলা থাকুক তাতে কিছু যায় আসে না। নিরাপদে পড়া লেখা করতে চাই, লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে চাই না। একেতো শিক্ষা উপকরণের দাম বেশি, তার ওপর বাড়তি ভাড়া। কোনও বাসে হাফ পাস নেই না। কিন্তু পুলিশরা তো বেতন পায়, তবুও তারা বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করে। আমরা কোনও বিশৃঙ্খলতা করছি না। আমরা যৌক্তিক আন্দোলনে মাঠে নেমেছি।
এছাড়া মতিঝিল, সাইন্সল্যাব, রামপুরা, ফার্মগেট, বাংলামটর, নতুন বাজার, গুলশান ২, ধানমন্ডি, আগারগাঁও, মিরপুর ১০, উত্তরা, রামপুরা, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর ও ঢাকার আশপাশে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের খবর পাওয়া গেছে।
গেলো রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে ঝরে যায় দুই শিক্ষার্থীর প্রাণ। তারা হলেন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মীম ও আব্দুল করিম। এরপর তার সহপাঠীরা আন্দোলনে নামেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন পুরো রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনে প্রায় শতাধিক গাড়ি ভাংচুর হয়। পাশাপাশি কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানীতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোপে তীব্র পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। সকালের দিকে দুই-একটি বাস চলতে দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে পরিবহন শূন্য হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে রাস্তায় যানবাহন নামাচ্ছেন না পরিবহন মালিকরা। রাজধানীতে প্রতিদিন ৫ হাজার বাস চলে। কিন্তু ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে লোকসানের আশঙ্কায় বাস নামাচ্ছেন না মালিকরা। ফলে রাস্তায় পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।