নতুন সড়ক পরিবহন আইনকে ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় অনেকগুলো অসঙ্গতি আছে। এক নম্বর অসঙ্গতি হচ্ছে যে, ট্রান্সপোর্টের মালিকদের সম্পর্কে খসড়া আইনে কোনো কিছু বলা নাই। দ্বিতীয় যদি কারো দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে, সেখানে বলা হয়েছে যে, যদি হত্যার উদ্দেশ্য, নিয়মনীতির বাইরে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় যদি কেউ মারা যায় তার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর।’
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) রাতে ২০ গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় জোটের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিন্তু সর্বোচ্চ শাস্তির যে দাবি ছিলো সেটা এই খসড়া আইনে নাই। এতোদিন বলা হলো যে, আমরা আইন আনছি, আইন করছি- এখন কিন্তু দেখা গেলো যে, কোটার মতোই অবস্থা দাঁড়িয়ে গেলো। আরেকটা প্রতারণা।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। এটা এখনো পাস হয়নি। আমরা আশা করবো যে, এটা আইন হওয়ার আগে বিষয়টি আবার তারা বিবেচনায় নিয়ে দেখবেন এবং বিষয়গুলো শেষ করার চেষ্টা করবেন।’
বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু-কিশোরদের ওপরে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হামলা, আলোকচিত্রীদের ওপর নির্মম নির্যাতন, প্রবীন আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেফতারের ২০ দলীয় জোট নিন্দা জানাচ্ছে।’
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান নজরুল ইসলাম খান।