সরকারকে স্বচ্ছ মন নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘শূন্য টেবিলে তো আর আলোচনা হয় না। আলোচনার জন্য সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু থাকতে হবে। অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে বিরোধীদল গুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তারা যদি এটা না চায় তাহলে বুঝতে হবে তাদের মন স্বচ্ছ না। তাদের মন সাদা নয়, অফ হোয়াইট (ধূসর)।’
‘শর্ত ছাড়া রাজি হলে বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
এর আগে আজ সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন- ‘নির্বাচন প্রসঙ্গে পূর্ব শর্ত দিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়, শর্ত ছাড়া যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
রিজভী বলেন, ‘কোনো এজেন্ডা ছাড়া কোনো আলোচনা নয়, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে আলোচনা হওয়া দরকার সে আলোচনার জন্য তো আমাদের দল সব সময় প্রস্তুত। আর এ ধরনের সংলাপের ডাক তো বিএনপি সব সময়ই দিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করে রাখবেন আর নির্বাচনের কথা বলবেন সেটা কীভাবে হয়। নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। কারণ এই কমিশন নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি সব সময় অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে। শুধু অংশগ্রহণমূলক হলেই হবে না, নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে। যে নির্বাচনে ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এসব বিষয়ে সমাধান না হলে সেই নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপিও সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।’
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার প্রমুখ।