বাংলাদেশের মতো ‘এমন হলুদ সাংবাদিকতা’ বিশ্বের আর কোথাও আছে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সাংবাদিকদের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন করার সামর্থ নেই। তাই তারা কোমলমতি শিশুদের ওপর ভর করেছিল। আর এই শিশুদের নাম করে ওই দিন আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করেছিল। তারপরও অনেক মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে লেখা শুরু করে। কেন? সাংবাদিকতার নামে এমন হলুদ সাংবাদিকতা পৃথিবীতে আর কোথাও আছে কি না- আমার সন্দেহ আছে।’
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘আজও ষড়যন্ত্র চলছে। এই কোমলমতি শিশুদের দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণের জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। তারপরও রাজনীতির কিছু সুবিধাবাদী চরিত্র, যারা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যান হয়েছে, সেই বিখ্যাত আইনজীবীরা তৎপর হয়ে গেলেন। বিভিন্ন জায়গায় সভা, সেমিনার করে। ভাব খানা এমন দেখায়- এবার কিছু একটা হবে। এই সব সুশীল বাবুদের জানিয়ে দিতে চাই, তাদের মুনাফিকের চরিত্র বাংলাদেশের জনগণের জানা আছে। আপনাদের বেইমানি জাতি বহুবার দেখেছে।’
আওয়ামী লীগ আতঙ্কে ভুগছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা কেন আতঙ্কে ভুগবো? আমরা গ্রামবাংলায় দেখেছি পাগলা কুকুর সবাই ভয় পায়। বিএনপি কি নিজেকে সেই পাগলা কুকুর ভাবছে? যদি ভাবে তাহলে শুধু আওয়ামী লীগ কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ আতঙ্কে ভুগবে।’
‘সরকারের শেষ সময় এসেছে তাই স্বৈরাচারী হয়ে গেছে’ এমন বক্তবের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা আন্দোলনের নাম করে পেট্রল-বোমা দিয়ে মানুষ মারবেন, সরকারি, বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস করবেন, তারপর মামলা হলে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিলে বলবেন সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে। ভূতের মুখে রাম রাম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আইন সবার জন্য সমান। এ দেশে অপরাধ করে, মানুষ হত্যা করে, রাজনীতির দোহাই দিয়ে পার পাবেন, সেই সুযোগ নেই। এইসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত বা হুকুম দিয়ে করিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিচার করা হবে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা সব সময় তৎপর। তাই এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি বাহাদুর বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান তপন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মইউদ্দিন মাহি প্রমুখ।