বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা বিষয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৪টি নির্দেশনা দিয়েছেন। শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে দেখা করতে গেলে খালেদা জিয়া এই নির্দেশ দেন। বিএনপির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি, নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন এবং তার মামলা পরিচালনার বিষয়ে কোনোরকম ভুল না করে সতর্কতা অবলম্বন করা।
রাতে গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সামনে মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তুগুলো তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার বার্তা দিয়ে বলেন, জনগণকে সজাগ ও সতর্ক থেকে গণতন্ত্রের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের আরও জানান, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও খালেদা জিয়ার মনোবল অত্যন্ত শক্ত আছে। ম্যাডাম শারীরিক দিক দিয়ে বেশ অসুস্থ। আমি আগে তাকে দেখেছি, তার চাইতে অবস্থা এখন ভালো নয়। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি ব্যথায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন। তবে ম্যাডামের মনোবল অত্যন্ত শক্ত আছে। উনি দেশবাসীকে মনোবল দৃঢ় রাখতে বলেছেন।
তিনি বলেন, দেশবাসীর উদ্দেশে ম্যাডাম বলেছেন, তারা যেন সজাগ থাকেন, সচেতন থাকেন। গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম চলছে, সেই সংগ্রাম যেন অব্যাহত রাখেন।
বিকেল ৪টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করে ঘণ্টাখানেক পর বের হয়ে আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এভাবে খালেদা জিয়াকে দেখবো চিন্তাই করতে পারিনি। এটা আমার জন্য বেদনার। ঈদের দিন বাসার খাবারের প্রতীক্ষায় থেকে তিনি দীর্ঘ সময় কোনও খাবার খাননি। পরে আইজি প্রিজনের অনুরোধে সন্ধ্যায় খাবার খেয়েছেন।