বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের আপত্তি সত্ত্বেও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ইভিএম আরপিও করার চেষ্টা করছে। জনগণের প্রতি আস্থা হারিয়ে যন্ত্র ব্যবহারে উঠে পড়ে লেগেছে বর্তমান সরকার।
এমন কি ঘটল, যে নির্বাচনের তিন মাস আগে ইভিএম কেনার জন্য পাগল হয়ে গেছে। একটি পরিত্যক্ত পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার জন্য ৪ হাজার কোটি টাকার যন্ত্র কেনার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে ইভিএম। এটি ভোট কারচুপির হাতিয়ার। এদেশে এটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করতেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ চেষ্টা বন্ধ করা না হলে দেশে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য ইসিকে দায়ভার নিতে হবে। জনগণ এটি প্রতিহত করবে।
ফখরুল বলেন, কাকে বিজয়ী করতে নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এর পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছে? সরকার জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে এখন যন্ত্রের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইসির হঠাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত দুরভিসন্ধিমূলক। ইভিএম ব্যবহারের যে খরচ হবে সেটি নির্বাচন কমিশন ও এর কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত দায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে এ যন্ত্রটি কেনার তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহারে কারচুপি করার সুযোগ থাকে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যেকোনও সময় ফলাফল পাল্টে দেয়া যায়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিশ্বের প্রায় ৯০ ভাগ দেশে ইভিএম পদ্ধতি চালু নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট জালিয়াতি সম্ভব। ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।