নির্বাচন কমিশন জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখের আগে যে কোনো দিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আমির কমপ্লেক্স এলাকায় কেন্দ্রঘোষিত আওয়ামী লীগ গণসংযোগ কর্মসূচির শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তবে এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। আপনারা প্রস্তুত হোন, অক্টোবর মাসে আমরা মনোনয়ন পর্ব শুরু করে দিয়েছি। অক্টোবর মাসে কোনো অন্তর্বতীকালীন সরকার হবে না। সরকার যেটা আছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকারই থাকবে। তবে সরকার তখন রুটিন ওয়ার্ক করবে। হয়তো সাইজটা একটু ছোট হবে। এটা অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে হতে পারে।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরিস্কারভাবে জানাতে চাই, আপনারা যত নালিশ, যত নাশকতার পরিকল্পনা করেন, যত সন্ত্রাস চালান কোনো কাজ হবে না। ক্ষমতা পরিবর্তন চায় যারা তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ক্ষমতার মঞ্চে পরিবর্তন চাইতে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির খবর কী? আছে? অক্টোবর কবে হবে? আগস্ট মাসে বলে একমাসের কথা। সেপ্টেম্বর মাসে বলে এক মাসের কথা। সেপ্টেম্বর গেল, এখন বলে এক মাসের মধ্যে আন্দোলন হবে। দেশের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাবে, বিশ্বাস করে মানুষ? বহুরুপী ব্যারিষ্টারের কথা মানুষ কী বিশ্বাস করে?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খবর পেয়েছেন? আন্দোলন ১০ বছরে হয় নাই, ১০ মাসে হবে? ২০টা ঈদ চলে গেছে। ঈদ আসলে বলে রোজার ঈদের পর, কোরবানীর ঈদের পর। দেখতে দেখতে ২০টা ঈদ চলে গেল। আরেকটা ঈদ তো নাই, কাজেই ২০১৯ সালের প্রথম রোজার ঈদের পরে বিএনপি আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে পারে। তার আগে আর ঈদ নেই, আন্দোলনও হবে না। ঈদ সামনে না এলে তো তারা তারিখ দিতে পারে না। দেখতে দেখতে ১০ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর?’
বিএনপির এখন মূল ক্যাপিটাল হচ্ছে গুজব সন্ত্রাস মন্তব্য করে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাইবার অ্যাটাক বন্ধ করতে হবে, স্লোগান দিলে হবে না। যারা দলীয় মনোনয়নের বিরোধীতা করবেন, এবার বঙ্গবন্ধু কন্যা কাউকে ক্ষমা করবেন না। যারা শোডাউনের নামে বিশৃঙ্খলা করবে, তাদের নম্বর কাটা যাবে। কয়েকটা সংস্থা এখানে মনিটরে আছে, কারা কি করছে সব দেখছি। প্রার্থীদেরকে বলবো, সমর্থকদের থামান। না হলে কিন্তু আপনার নম্বর কাটা যাবে।’
সড়কমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সামনে আরও ২০/২৫ দিন সময় আছে। নম্বর যাদের ভালো আছে, ক্যাডারের জন্য নম্বর কিন্তু কমবে। যেই নেতা ক্যাডারের কথায় চলে ওই নেতার আমাদের দরকার নাই। মশারির মধ্যে মশারি চলবে না। ঘরের মধ্যে ঘর করলে চলবে না। ঠিকঠাক মতো চলেন, চাঁদাবাজদের, দখলদারদের প্রশ্রয় দিবেন না। চাঁদাবাজের জায়গা আওয়ামী লীগে নেই।’
জনগণের উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা অপকর্ম করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির অফিসে টেলিফোন করে নালিশ করবেন। আমরা বিচার করবো। রাজনীতি করি মানুষের জন্য, সেই নেতা যে মানুষকে ভালোবাসে। সেই নেতা যাকে মানুষ ভালোবাসে। এটা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, এটা শেখ হাসিনার রাজনীতি। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবাহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।