খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি জামায়াতকে হালকাভাবে দেখলে চলবে না। তিনি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত, ১/১১ র কুশীলব আবার এক হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কাজেই আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে। এদেরকে হালকাভাবে দেখলে চলবে না। ৭১ এ আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তেমনিভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। এই নির্বাচনকে বানচাল করার সাংগঠনিক ক্ষমতা তাদের না থাকতে পারে কিন্তু তাদেরকে দূর্বল ভাবা চলবে না। কারণ তারা এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত যাতে বাংলাদেশে একটি অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। তারা জানে নির্বাচনে তাদের জয়লাভ করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এটা তারা উপলব্ধি করতে পারছে।’
সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমন অভিযোগ করে কামরুল বলেন, ‘আমাদের অগ্রগতিকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের যে শাসনামল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবারও কিন্তু ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের দেশে আজকে উন্নয়ন হচ্ছে, আমরা ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত দেশ করার স্বপ্ন দেখছি। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে অবস্থা থেকে আমাদের পিছনে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র চলছে। একদিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সৎ নেত্রীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে, অন্যদিকে বিশ্বের দশজন রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান। আজকে বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখে, সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে চিন্তা করে।’
এক সময় মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশকে মিসকিনের দেশ বলতো উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখান থেকে কিন্তু আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমরা এখন আর্থিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছি, আমাদের আজকে লাখ কোটি টাকার বাজেটে বিদেশের কোনও অর্থ প্রয়োজন হয় না। আমরা খাদ্যে এতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ যে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয় না। আমরা সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। সে অবস্থা থেকে আমাদের পিছনে নিয়ে আসার জন্য একটা সুগভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে না এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। কাজেই যারা প্রত্যাগত প্রবাসী আছেন, তাদেরকে নির্বাচনে একটা বড় দায়িত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করতে হবে। এদের কিন্তু দুর্বল ভাবলে হবেনা, এরা ষড়যন্ত্রে পারদর্শী। বিএনপি নামক দলটির জন্ম হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। অন্যকিছু না হোক নির্বাচনে তারা পরাজয় বরণ করে। ভোটের রাজনীতিতে তারা বিশ্বাস করে না। তারা সাংগঠনিক দিক দিয়ে যতটাই দুর্বল হোক না কেন, তারা বিদেশের ওপর বারবার নির্ভরশীল। এ কারণে তারা বার বার বিদেশে নালিশ করে। কিন্তু ষড়যন্ত্রে যে তারা পারদর্শী এটা স্বীকার করতে হবে।’