দুই শর্ত পূরণ হলে তবেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা চলার প্রায় একই সময়ে বি. চৌধুরী নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
বি, চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রত্যক্ষ অবস্থান ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় একমত হলে বিকল্পধারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবে।’
তিনি বলেন, ‘দুই শর্ত পূরণ হলে ঐক্য হবে। ভবিষ্যতে স্বেচ্ছাচার, স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষমতায় আসা ঠেকাতে বিএনপিকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এমন ঐক্য হতে হবে যেখানে কোনও দল ১৫০টির বেশি আসন পাবে না। কোনও দল যেনো এককভাবে সরকার গঠন করতে না পারে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা গণতন্ত্রকে হত্যা করে।’
বি. চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখনো জাতীয় ঐক্য চাই। বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আপত্তি নেই। কিন্তু বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গ ছাড়তে হবে। ক্ষমতার ভারসাম্যের রাজনীতির শর্ত মেনে নিতে হবে। জাতীয় ঐক্যের নামে বিএনপিকে এককভাবে ক্ষমতায় বসানোর ‘চক্রান্তের’ সঙ্গে বিকল্পধারা নেই।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বিকল্পধারার মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী।
মাহী বি চৌধুরী বলেন, ‘তাদের শর্ত ছিল বি. চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বি. চৌধুরী ও ড. কামালের আলোচনা ছাড়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে না। ড. কামালের সঙ্গে আলোচনা করতেই গতকাল তারা বি. চৌধুরীকে নিয়ে তার বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ড. কামালের বাসায় তাদের কেউ বসতেও বলেনি।’
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করেছে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। যেখানে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হয়েছে ঐক্য প্রক্রিয়া, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে’র ব্যানারে বৃহত্তর এ জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার এ ঘোষণা দেয়া হয়।
৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও ডিজিটাল নিরাপত্তাসহ সব কালো আইন বাতিল করা।
সূত্র ঃ ব্রেকিং নিউজ