আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে আসতে প্রতিদিনই যোগাযোগ করছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আমাদের নির্বাচনী জোট নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাই না। জোটের রাজনীতির শেষ দেখতে সবাইকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে জাকের পার্টি, সাতটি দলের একটি বাম অ্যালায়েন্স, বাহাদুর শাহ এর ইসলামী ফ্রন্ট যোগাযোগ করেছে। তারা আমাদের অফিসে এসেছেন। এই দলগুলো আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান, শামিল হতে চান।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী দেশে ফিরে এলে ওয়ার্কিং কমিটির সভায় আমরা বসবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো কাকে আমরা জোটে নেবো, কাকে নেবো না। এক দিকে ১৪ দল অন্যদিকে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ইতিপূর্বে আমাদের মহাজোট ছিলো। জোটের আকার আবারো মহাজোটে রূপ নেবে কি না তা নির্ভর করবে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সমীকরণের ওপর। ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করবো নাকি একাই নির্বাচন করব, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচনের সামনে আগে রাজনৈতিক সমীকরণ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
যুক্তফ্রন্টের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের বলার তেমন কিছু নেই। দেশের ২০০টির মতো রাজনৈতিক দল ১৪টির মত অ্যালায়েন্স রয়েছে। মেকিং, গ্রিটিং চলছে। নির্বাচনের আগে অ্যালায়েন্সের সমীকরণটা কেমন হবে তা শুধু তখনই বোঝা যাবে। এজন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে।’
কোনো জোট কিংবা রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে বৈতরণী পারে আওয়ামী লীগ বাধা হিসেবে দেখছেন না জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এটা ২০০১ কিংবা ২০১৪ সাল নয়। আমাদের কোনো শঙ্কা নেই। বিএনপি যদি মনে করে তারা আগামী ১৫-২০ দিনে ২০০১ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, তাহলে আমি বলবো তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।’
আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা রাখছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সব থেকে বড় আস্থার জায়গা বাংলাদেশের জনগণ। দেশের জনগণ যখন শেখ হাসিনার দৃঢ় ও শক্তিশালী নেতৃত্বে বিশ্বাস রাখছে। জনগণ যখন আমাদের সঙ্গে আছে, তখন ওই নেতায় নেতায় ঐক্য কিংবা জনবিচ্ছিন্ন নেতারা কে কি করবে এটা কি আমরা মোটেও চিন্তিত নাই।’
বিকল্পধারা ও এলডিপিকে নির্বাচনী জোটে নেওয়ার কোন ভাবনা আওয়ামী লীগের রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কর্নেল অলি আহমেদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে তিনি আমাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে আসা কিংবা ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো ইচ্ছা পোষণ করেননি। বিকল্পধারা যুক্তফ্রন্ট গঠন করে আলাদাভাবে নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, বলে যতদূর আমি জানি। করুক সমস্যা কোথায়। ১৪টা জোট হয়েছে ২০-২৫টা হলেও তো সমস্যা নেই। এটাতো গণতন্ত্র, শত ফুল ফুটবে। সমস্যার কিছু তো সমস্যা নেই।