বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে সাত দিনের মধ্যে বর্তমান সরকারের করা ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ও ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ বাতিল করবে।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ও ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ এই দুই আইনের মাধ্যমে আমাদের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশ করতে পারবে না। হাত-পা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এখন মুখও বেঁধে দেয়া হয়েছে। আমাদের সংবিধানের যে মৌলিক অধিকার, সেটা আজকে কেড়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এটা অনেকটা জাতীয় ট্রাজেডির মতো। তবে এক বিতর্কিত রায়ের মাধ্যমে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার বিচারকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। আমরা ঘটনার পর ইন্টারপোলের মাধ্যমে তদন্ত করেছিলাম। এফবিআই ঢাকায় এসেছিল। মুফতি হান্নানও প্রথমে এই হামলা একক সিদ্ধান্তে করেছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। কোনও তদন্ত বা স্বীকারোক্তিতেই কিন্তু কখনো তারেক রহমানের নাম আসেনি।
মওদুদ বলেন, তারেক রহমান যেদিন ফিরে আসবেন, আত্মসমর্পণ করে তিনি আপিল করবেন এবং জামিন নেবেন। তিনি হাই কোর্টে প্রমাণ করবেন, তার বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে সেটা অচল রায়। এই রায় কার্যকর হবে না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানকে এ মামলায় জড়িয়েছে। আমরা মনে করি, এটা ফরমায়েসি রায়। এই রায় দেশের মানুষ মানেনি।
সারাদেশে জাতীয় ঐক্যফন্টের ডাক পৌঁছে গেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন আনা হবে, সরকারকে বাধ্য করা হবে সংলাপে বসতে। এই ঐক্য দিন দিন আরও জোরদার হবে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে।