কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার করে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসছে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিষয়টা হচ্ছে ড. কামাল হোসেন সাহেব ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে নেত্রী বলেছেন, আমার সঙ্গে কেউ দেখা করতে চাইলে, তার দরজা আমার জন্য বন্ধ না।’
তিনি বলেন, ‘কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার করে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসছে না। ঐক্যফ্রন্টের চিঠির প্রেক্ষিতেই সংলাপ। গণতন্ত্রের যে ধারা আছে সে আশা নিয়ে শেখ হাসিনা দাওয়াত দিয়েছেন। ’
সংলাপে কতজন অংশ নেবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মন্টুর সঙ্গে গতরাতে ফোনে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ১৫ জন আসবেন। আমি বলেছি, ১৫ কেন ২৫ জনও আসতে পারেন। সংখ্যার ব্যাপারে কোনো বাধা নেই। ’
সংলাপে সংবিধানসম্মত সকল বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
জামায়াত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, যাদের নিবন্ধন নেই, তাদের সঙ্গে সংলাপের সুযোগ নেই।
এর আগে, সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সংলাপের চিঠি নিয়ে রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের বাসায় পৌঁছায় আওয়ামী লীগের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
সংলাপের আহবান জানিয়ে নয়া জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চিঠির জবাব দিতেই প্রতিনিধি দলটি জোট প্রধান ড. কামাল হোসেনের বাসায় যান। এসময় প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. আব্দুস সোবহান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠি ড. কামাল হোসেনের হাতে তুলে দেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংলাপের আহবান জানিয়ে সাত দফা দাবি এবং ১১টি লক্ষ্য সংবলিত চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফীকুল্লাহ চিঠি