বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংলাপে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও সংবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভারতের ফুড এন্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সচিব শ্রি রবিক্রান্ত এর নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন চিঠি দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেন। তারা তাদের চিঠিতে সাত দফা ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছে।
আমরা জানিয়েছি সংবিধান অনুযায়ী আলোচনা হবে। সুতরাং সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হবে সংবিধান অনুযায়ী।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ সুনির্দিষ্ট। একটি অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহনযোগ্য নির্বাচন শেষ করা আমাদের সকলের লক্ষ্য।
এই কাজটি করে নির্বাচন কমিশন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। আলোচনা যাই হোক আমরা সবাই নির্বাচনে অংশ নেবো এই সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশনের তত্বাবধানে। এখানে সমস্যার কিছু দেখি না।
খালেদা জিয়া ও সকল রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দিদের মুক্তির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭৫ সালের পর আমরা অনেকেই বন্দি ছিলাম, আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না।
বঙ্গবন্ধুও বন্দি ছিলেন, মানুষ গণঅভ্যুত্থান করে তাকে মুক্ত করেছিল। কিন্তু বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াসহ অন্য যারা আছে তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বন্দি আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকে তারা তো রাজবন্দি নয়।
সংলাপ যেন আসন ভাগাভাগির না হয় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি যখন আমাদের সঙ্গে ছিলেন, একসঙ্গে আমরা তিন জোট মিলে রুপরেখা করেছিলাম।
তখন বিএনপির সঙ্গে আমাদের আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন দুই নেত্রী ১৫০টি করে সিটে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই দিন নাই। সংলাপে বসে আসন ভাগাভাগি সেলিম কিভাবে সেই স্বপ্ন দেখলেন আমার জানা নেই।
সংলাপে যারা যাচ্ছেন অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন, এটি ঘরের লোকদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।