কেন্দ্রের নির্দেশনা মানছে না আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসা প্রার্থীরা। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আনতে বলা হয়েছিলো।
মনোনয়ন বিতরণের দ্বিতীয় দিনে অধিকাংশ প্রার্থীর কাছে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি না থাকায় মনোনয়ন ফরম বিতরণে বাড়তি সময় লাগছে।
ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ভোটার আইডির ফটোকপি ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন ফরমের সংগ্রহের জন্য প্রার্থীদের মাইকিং করে বারবার বলা হলেও এবিষয়ে খেয়াল নেই কারো।
মনোনয়ন ফরম বিতরণের প্রথম দিন শুক্রবারও এ বিষয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সকলকে যত্নবান হওয়া আহ্বান জানালেও দ্বিতীয় দিনেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
মনোনয়ন প্রত্যায়ীদের কার্যালয়ের মূলফটকের সামনে শোডাউন করতে বারবার বারণ করা হলেও এ দিকে কারো কোনো খেয়াল নেই।
জোহরের নামাজের জন্য দু’ঘন্টা বিরতি’র পর আবারও মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে। প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে ভিড় কিছুটা কম দেখা গেছে ।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, শুধুমাত্র প্রার্থী এবং তার একজন প্রতিনিধি ফরম সংগ্রহের জন্য পার্টি অফিসের ভেতরে যাওয়া সুযোগ পাবে। তার এ নির্দেশনা মানছে না অনেকই। সকাল থেকে আরও বেশি মানুষ ভেতরে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে।
ফলে মনোনয়ন ফরম বিতরণ স্থলে ভিড় লেগে যাচ্ছে। এ প্রবণতা রোধে মাইকিং করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের দফতর থেকে।
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে আসা সমর্থকদের জমায়েতে ধানমন্ডিজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো বড় দলের জন্য এটা স্বাভাবিক। হাজার হাজার থেকে শুরু করে লাখো মানুষের জমায়েত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ধানমন্ডি না আমাদের এ কর্মযজ্ঞের জন্য পল্টন ময়দা কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রয়োজন। যেহেতু বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় রয়েছে সেখানে মনোনয়নের কিছু কাজ নিয়ে যাওয়ার চিন্তা আমাদের রয়েছে।’
একটু কষ্ট হলেও মনোনয়ন ফরম বিতরণের কাজটা আমরা সভাপতির কার্যালয়ে শেষ করতে চাই বলে জানান কাদের।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মত মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে ক্ষমতাসীনরা।