ক্রিকেটের মাঠ থেকে রাজনীতির রণাঙ্গনে প্রবেশ করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তোজা। গত ১১ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেন ম্যাশ। সবকিছু ঠিক থাকলে নৌকার প্রার্থী হিসেবে তিনিই পেতে পারেন চূড়ান্ত মনোনয়ন।
মাশরাফির নির্বাচনী আসন নড়াইল-২ (লোহাগড়া-নড়াইল সদরের একাংশ)। আসনটিতে এরইমধ্যে মাশরাফি ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও ১৬ জন নেতা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। আর সেক্ষেত্রে আগে নিজ দলের ভেতর লড়াই করতে হবে ম্যাশকে।
এদিকে নড়াইল-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি তবিবর রহমান জোমাদ্দারসহ পাঁচজন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাশরাফি তারকা। বিশ্বব্যাপী তার খ্যাতি। আমরাও তাকে ভালোবাসি। কিন্তু রাজনীতির মাঠে নৌকার প্রার্থী হিসেবে তাকে বিবেচনা করবো। এখানে ব্যক্তি মাশরাফি উহ্য।’
স্থানীয় বিএনপি ও ২০ দলের নেতারা বলছেন, মাশরাফি নয়, নির্বাচন হবে নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যে। এখানে ব্যক্তি মাশরাফিকে বিবেচনায় রাখার কোনও সুযোগ নেই। যদিও বিরোধী প্রার্থীরাও ব্যক্তি মাশরাফির প্রতি তাদের অকুণ্ঠ ভালোবাসার কথা বলছেন অকপটে।
নড়াইল-২ আসনে এরই মধ্যে মাশরাফি ছাড়াও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, সহ-সভাপতি সৈয়দ আইয়ুব আলী এবং এস এম আসিফুর রহমান, সদস্য এস কে আবু বাকের, মো. হাসানুজ্জামান ও মো. রাশিদুল বাশার, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ হাসান ইকবাল, যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য শেখ মো. তরিকুল ইসলাম, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুন্সী কামরুজ্জামান, ব্যবসায়ী বাসুদেব ব্যানার্জি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সুবাস চন্দ্র বোস জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তারা তার পক্ষেই কাজ করবেন। তাকেই বিজয়ী করতে মাঠে থাকবেন।