আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেছেন, এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় বিএনপি নির্বাচনে নাও আসতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় পার্টির বানানী কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিনের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না আমি জানি না ঠিক। তবে কালকে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। অনেকে গাড়ি পোড়াইছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এর মধ্য দিয়ে মনে হয় ইঙ্গিত পাওয়া যায় তারা নির্বাচনে নাও আসতে পারে। তবে আসলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে এলে ভালোই হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে, জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে। ’
জোটের ব্যাপারে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি, বিএনপি নির্বাচনে এলে আমরা জোটবদ্ধ হয়েই নির্বাচন করবো। আশা করছি, আমরা জোটবদ্ধ হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী সম্মানজনক আসন পাবো। ’
এ সময় আগামী ১৭ ও ১৮ নভেম্বর পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় প্রার্থীতা চূড়ান্ত হবে বলেও জানান এরশাদ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে উজ্জীবিত। গত চার দিনে প্রায় আড়াই হাজার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। আজও অনেক মনোনয়নপত্র বিক্রি হবে। এটা জাতীয় পার্টির জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে, জাতীয় পার্টি একাদশ নির্বাচনে অনেক ভালো ফলাফল করবে। ’
মনোনয়ন কাকে দেওয়া হবে-এ প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির কর্মীদের মধ্যে অপ্রতিরোধ্য সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ যাকে ভালোবাসে মনোনয়ন তাকেই দেওয়া হবে।’
আজ ৫ম ও শেষ দিনের মত বনানীর দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলছে। মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম দেখতে আজ সকালে বনানীর কার্যালয়ে আসেন এরশাদ। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এরশাদের হাতে মনোনয়ন ফরম তুলে দেন।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, সেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব মো. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।